টেন্ডার বাণিজ্য কি?
টেন্ডার বাণিজ্য বলতে সাধারণত সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পণ্য, সেবা বা প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান ও সেই দরপত্রে অংশ্যোগ করে চুক্তি বা NoA (Notification of Award) অর্জনের প্রক্রিয়াকে বোঝায়।
টেন্ডার বাণিজ্যের প্রক্রিয়া:
১। টেন্ডার পাবলিশ:
সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী টেন্ডার নোটিশ পাবলিশ করে। এটি সাধারণত অনলাইন পোর্টাল যেমন bdtender.com, eprocure.gov.bd, খবরের কাগজ বা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে।
২। দরপত্র আহ্বান:
টেন্ডার নোটিশে প্রকল্পের বিবরণ, যোগ্যতার মানদণ্ড, জমা দেওয়ার নির্দেশিকা এবং শেষ তারিখসহ জরুরি তথ্যাদি উল্লেখ করা থাকে। বিস্তারিত জানতে টেন্ডার ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হয়।
৩। দরপত্র প্রস্তুত:
আগ্রহী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিরা টেন্ডারের শর্তাবলী অনুযায়ী তাদের প্রস্তাবনা বা কোটেশন প্রস্তুত করে। কখনো কখনো এতে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক প্রস্তাবনা অন্তর্ভুক্ত থাকে।
৪। দরপত্র জমা:
নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে টেন্ডার বক্সে দরপত্র জমা দিতে হয়। এটি অনলাইন বা অফলাইনে হতে পারে।
৫। মূল্যায়ন ও নিরবাচন:
টেন্ডার কমিটি জমা দেওয়া দরপত্র গুলো মূল্যায়ন করে এবং যোগ্য ও সেরা দরদাতাকে নির্বাচন করে।
৬। চুক্তি স্বাক্ষর :
নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বা NoA প্রদান করা হয় এবং প্রকল্প বা সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হয়।
৭। পেমেন্ট সিস্টেম:
টেন্ডার ডকুমেন্ট উল্লেখ করা থাকে কখন এবং কিভাবে পেমেন্ট করা হবে।
টেন্ডার বাণিজ্যের সুবিধা:
- স্বচ্ছতা: টেন্ডার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক।
- সুবিধা: প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা মূল্যে ও ভাল মানের পণ্য বা সেবা পেতে পারে।
- ব্যবসায়িক সুজোগ: টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে নতুন ব্যবসায়িক সুযোগ তৈরি করতে পারে।
টেন্ডার বাণিজ্যে সফল হওয়ার কৌশল:
- টেন্ডার নথি ভালোভাবে বুঝুন: টেন্ডারের শর্তাবলী ভালোভাবে বুঝে প্রস্তাবনা তৈরি করুন।
- প্রতিজোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ: অন্যান্য প্রতিযোগীদের তুলনায় ভালো মূল্য নির্ধারণ করুন।
- সময়সীমা মেনে চলুন: টেন্ডারের শেষ নির্ধারণে মেনে চলুন।
টেন্ডার বাণিজ্য সাড়া দুনিয়াতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কার্যক্রম, যা ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ ও দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
